dp power by developed & designed web blogs

Thursday, May 1, 2014

নজরুলকে দাফন, জানাজায় মানুষের ঢল by শরিফুল হাসান

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলামের মরদেহ সিদ্ধিরগঞ্জে তাঁর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে নজরুল ইসলাম ও তাঁর বন্ধু তাজুল ইসলামের জানাজা সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অনুষ্ঠিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জানাজা হয়। এতে শরিক হতে মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নজরুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়।

আজ সকাল ১০টার দিকে নজরুল ও তাজুলের মরদেহ ট্রাকে করে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নেওয়া হয়। তাঁদের জানাজায় অংশ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজার হাজার মানুষ মহাসড়কে অবস্থান নেন। মানুষের ঢল মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়ক ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

জানাজার আগে নজরুলের বন্ধু ও স্বজনেরা এলাকাবাসীর উদ্দেশে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার দাবি করেন। স্থানীয় লোকজন জানান, এর আগে আজ সকালে নজরুল ও তাজুলের লাশ হাসপাতালের হিমঘর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ ঈদগাহ ময়দানে নেওয়া হয়। কিন্তু স্থান সংকুলান না হওয়ায় তাঁদের মরদেহ সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কে আনা হয়।

নারায়ণগঞ্জ থেকে গত রোববার একসঙ্গে সাত ব্যক্তি অপহূত হন। তাঁরা হলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তাঁর বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ইব্রাহিম।

গতকাল বুধবার দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে পাঁচজনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন নজরুল, চন্দন কুমার, মনিরুজ্জামান, তাজুল ও ইব্রাহিম। অপর লাশটি নজরুলের বন্ধু লিটনের, নাকি গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলমের তা শনাক্ত হয়নি। আজ আরেকটি লাশ পাওয়া গেছে।

No comments:

Post a Comment