dp power by developed & designed web blogs

Friday, May 2, 2014

একই নামের প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে বিপত্তি

লোকসভা নির্বাচনে লড়তে নেমে চান্দুলাল সাহু দেখেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে সাতজনের নামের সঙ্গে তাঁর নামের মিল রয়েছে। এতে তিনি বিরক্ত, তবে অবাক নন। তিনি ছত্তিশগড় রাজ্য থেকে লড়ছেন। এমন বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি কেবল চান্দুলালের বেলায়ই নয়, বেশ কয়েকজন প্রার্থীর বেলায় দেখা যাচ্ছে। আজ শুক্রবার এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নির্বাচনী লড়াইয়ে মথুরায় প্রার্থী হওয়া বলিউড তারকা হেমা মালিনীর একই নামে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন দুজন। একই অবস্থা পাঞ্জাবের উত্তরাঞ্চল থেকে নির্বাচনের প্রার্থী অমরিন্দর সিংয়েরও। একই নামে রয়েছে তাঁরও দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী।
এই নামবিপত্তি থেকে বাদ যাননি ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদিও। গুজরাটের বরোদা আসনে মোদির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন আরও একজন নরেন্দ্র মোদি। তিনি কংগ্রেস দলের প্রার্থী। ভারতের রাজনীতিতে নামবিপত্তির এই কৌশল পুরোনো।  নির্বাচনে শক্তিশালী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে একই নামে নকল প্রার্থী সাজানো হয়। তাঁদের লক্ষ্য নির্বাচনে জেতা বা অংশ নেওয়া নয়, উদ্দেশ্য থাকে ভোটারদের বোকা বানানো। পোলিং বুথের ভেতরে নাম দেখে অনেক ভোটারই হয়তো নকল প্রার্থীকে ভোট দেন। এতে আসল প্রার্থী তাঁর ভোট হারান। গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ভোটে ছত্তিশগড় রাজ্য থেকে নির্বাচনী প্রার্থী চান্দুলাল সাহুর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন সাতজন চান্দুুলাল সাহু। স্বাভাবিকভাবে অনেক ভোটারই হয়তো নাম দেখে নকল চান্দুুলাল সাহুকে ভোট দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সাহু এএফপিকে বলেন, 'আমি কী করতে পারি? এটা আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতাদের ষড়যন্ত্র। তবে এসব কৌশল কাজে লাগবে না। আমার এলাকার ভোটাররা সচেতন। আমার প্রবল আত্মবিশ্বাস আছে যে তাঁরা ঠিকই আসল সাহুকে চিনে নেবেন।'
রাজনৈতিক দলগুলো নকল নামের এসব প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বহন করেন। উদ্দেশ্য থাকে কয়েক শ ভোট এদিক-সেদিক করা। অপরিচিত কোনো প্রার্থীকে নকল নামে ও নকল  রাজনৈতিক দলের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই প্রতীক হয় প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের প্রতীকের আদলে। এমনটিই ঘটেছে আম আদমি পার্টির নেতা আশুতোষের বেলায়। তাঁর নাম ও আম আদমি পার্টির প্রতীকের আদলে নকল প্রতীক ব্যবহার করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরেক আশুতোষ। এ ব্যাপারে আম আদমি পার্টির নেতা আশুতোষ বলেন, ভোটাররা দুই আশুতোষ হওয়ার কারণে দ্বিধায় পড়েছেন। নির্বাচন কমিশন বলছে, এটি বেআইনি নয়। তাই আসল প্রার্থীদের আড়ালে নকল প্রার্থী দাঁড় করানো হলেও আইনত কিছুই করতে পারছে না কমিশন। তবে দিল্লির সহযোগী প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা নিরাজ ভারতী  বলছেন, তাঁরা সব প্রার্থীর তালিকা তৈরি করেছেন। প্রতীকও চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিটি পোলিং বুথের বাইরে দলের প্রতীক ও প্রার্থীর প্রচার করতে হবে জোরেশোরে, যাতে করে নকল প্রার্থীরা ধোপে টিকতে না পারেন। ভারতে কয়েক দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৬ মে নির্বাচন শেষ হবে।

No comments:

Post a Comment