হাইকোর্টের আদেশের তিন দিন পরও চাকরি হারানো র্যাবের সেই তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কোনো অভিযান চালায়নি। শুধু আদেশ মানতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চেয়ে চিঠি দিয়েছে তারা। মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন কর্মকর্তা সেনানিবাসে আছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সেখানে গিয়ে অভিযান চালানো তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। আদালতের আদেশের পরও কেন গ্রেপ্তার অভিযান হচ্ছে না, জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, আদালত যেভাবে আদেশ দিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে মানা হচ্ছে। আদেশ অনুসারেই পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, গ্রেপ্তার এড়াতে র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা আজ উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। তাঁদের স্বজনেরা আইনগত সহায়তা চেয়ে কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১১ মে হাইকোর্টের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, দণ্ডবিধি বা বিশেষ কোনো আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া না গেলে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করতে হবে। নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় এই তিন কর্মকর্তা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে৷ অভিযোগ ওঠার পর র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ, মেজর আরিফ হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের সাবেক প্রধান লে. কমান্ডার এম এম রানাকে অবসর দেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে সেনাবাহিনীর দুজনকে অকালীন ও নৌবাহিনীর একজনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, আদালত আদেশ দিলেও তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে কোনো সবুজ সংকেত মেলেনি৷ এ কারণে শুরু থেকেই পুলিশ 'ধীরে চলো' নীতি অনুসরণ করছে। এ জন্যই আদালতের আদেশ হাতে পাওয়ার পর গ্রেপ্তার অভিযান না করে সহায়তা চেয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। ওই মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলের দিকে মন্ত্রণালয় পুলিশের চিঠি পেয়েছে। কিন্তু গতকাল ছুটি থাকায় এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের চিঠিটি আজ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে পাঠানো হবে। এরপর সেই চিঠি যাবে সেনা ও নৌবাহিনীর হাতে। অভিযানের ব্যাপারে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, পুলিশ কোনো কালক্ষেপণ করছে না। আইন মেনেই সব করছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, তিন দিনেও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা গ্রেপ্তার না হওয়ায় শুধু আইনজীবী নন, নারায়ণগঞ্জের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ, হতাশা ও বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও পরিবহন চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রক রফিকুল ইসলাম রতনকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। নূর হোসেনের অন্য সহযোগীদের তালিকা তৈরি করে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এরপর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যায় একে একে ছয়জনের এবং পরদিন আরও একজনের লাশ ভেসে ওঠে৷
Tinnitus And You: Living, Learning And Coping With Your Diagnosis
-
Many people worry about whether their strange symptoms could mean they are
suffering from tinnitus.
Avoid instances where you expect to encounter loud sou...
6 years ago
No comments:
Post a Comment