রাজধানীর কমলাপুরের টিটিপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ঘটনাস্থলে অজ্ঞাত দুই যুবক ও হাসপাতালে নেয়ার পর নাজমুস সাবা নাজু (২২) নামে এক জনকণ্ঠের এক সাংবাদিকের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন সাংবাদিকের স্ত্রী নাজমুস সাবা নাজু (২২)। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২০ জন। আহতদের মধ্যে ৯ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে কমলাপুরের দিকে একটি ট্রেন যাচ্ছিল। কমলাপুরের পাশেই টিটিপড়া ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড না থাকায় বলাকা পরিবহনের একটি বাস রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সময় মতো নিরাপত্তা ব্যারিকেট না দেয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে অনেকেই বলেছেন, বাসটি উল্টো পথ দিয়ে রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। রেলওয়ে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কামরুল আহসান বলেন, রাত সোয়া ১০টার দিকে একটি যাত্রীবাহী বাস রেললাইনের উপরে উঠে পড়েছিল। নারায়নগঞ্জ থেকে কমলাপুরগামী ট্রেনটি টিটিপাড়া ক্রসিংয়ে বাসটিকে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বাসের যাত্রীরা হতাহত হন। এঘটনায় রেলওয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী বাসযাত্রী নিহত নাজুর স্বামী দৈনিক জনকণ্ঠের সহ-সম্পাদক ওবায়দুর রহমান জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী দু'জনে সন্ধ্যায় মানিকনগর স্ত্রীর বড় বোন মোস্তারীর বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মগবাজারের বাসায় ফেরার জন্য বলাকা পরিবহনের বাসটিতে ওঠেন। ওবায়দুর জানান, তার স্ত্রী নাজু বাসের সামনের সিটে বসেছিলেন। তিনি এক সিট পেছনে বসেছিলেন। টিটিপাড়া রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় হঠাৎ একটি ট্রেন চলে আসে। তিনি জানান, ট্রেন আসার আগে সিগনাল বাতি জ্বললেও ব্যারিকেড দেয়া ছিল না। বাসটি দ্রুত রেলক্রসিং পার হতে গিয়ে হঠাৎ বিকট শব্দে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওবায়দুর বলেন, তার স্ত্রীকে তিনি চোখের সামনে ছিটকে নিচে পড়তে দেখেছেন। তবে তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও বাম হাতে আঘাত পেয়েছেন। নিহত নাজুর স্বজনেরা জানান, গত বছর ১৩ মার্চ ওবায়দুরের সঙ্গে নাজুর বিয়ে হয়। নাজুম দিনাজপুর সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুরের খোলাহাটিতে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, ট্রেন-বাস সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত অন্তত নয় জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকিদের যাত্রাবাড়ীর ইসলামীয় হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতরা হলেন, ডলি আক্তার (২৪), শাহনুর (৪০), আল-আমীন (১৮), ইকবাল (৪০), মাহফুজ (২৪), মাহমুদ (২০), কালা ব্যাপারী (৫০), লিটন ব্যাপরী (৩৫)। আহত আল-আমীনের মা কুরফু বেগম বলেন, স্বামী শুকুর আলী ও ছেলে আল-আমীনসহ তারা তিন জন নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে বসে কমলাপুর আসছিলেন। কমলাপুর থেকে তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুর যাবার কথা ছিল। তিনি বলেন, হঠাৎ একটা বাসের সঙ্গে ধাক্কা খেল। এতে তার ছেলে ছিটকে রাস্তায় পড়ে। এতে তার বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহত ডলির বড় বোন শামসুন্নাহার জানান, ডলি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা। লক্ষ্মীপুরের পিটিআইতে ট্রেনিং করছিল। ছুটি নিয়ে সে ঢাকার কচুক্ষেতের বাসায় আসছিল। সায়েদাবাদে বাস থেকে নেমে হয়তো সে বলাকা বাসে উঠেছিল। তারা মোবাইলে খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছেন। রেলওয়ে থানার ওসি আবদুল মজিদ জানান, ঘটনাস্থলে নিহত দুইজনের লাশ রেলওয়ে থানা মর্গে রাখা হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন। নিহতদের পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
Tinnitus And You: Living, Learning And Coping With Your Diagnosis
-
Many people worry about whether their strange symptoms could mean they are
suffering from tinnitus.
Avoid instances where you expect to encounter loud sou...
6 years ago
No comments:
Post a Comment